নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আনা হবে। এজন্য কারা কতৃপক্ষ প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
কারা সূত্র জানায়, আজ রবিবার জিয়াকে ১২টার পর বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়াকে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে আনা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শুনছি, আজকে ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হবে।
বিএনপির সহ স্থাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় ধরে বিনা চিকিৎসায় অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ৭৩ বয়সী নেত্রী দেশের একজন সম্মানিত সিনিয়র সিটিজেন। বর্তমানে দেশনেত্রী বহু জটিল রোগে আক্রান্ত। তার বাম হাত, বাম পায়ের ব্যাথা গুরুতর। ব্যথা প্রশমনের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ এবং আধুনিক ফিজিওথেরাপি। বর্তমানে তার মুভমেন্ট অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৮ই নভেম্বর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন তাকে হাসপাতালে শেষ চিকিৎসা প্রদান করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসে তার কোন ফলোআপ হয়নি। এমনকি জেলে চিকিৎসকরা তাকে নিয়মিত দেখতে যেতেন না।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, কারাগারে তাদের চেয়ারপারসনের যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিএনপি তার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা শেষে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়ার পর তিন মাসের বেশি সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসা না দেয়ায় খালেদার রোগগুলো মারাত্মক রূপ নিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Discussion about this post