নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়ে আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সিআইডি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত এই নতুন দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। অর্থ চুরির পরপরই শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার এবং ফিলিপাইন থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ফিলিপাইনে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের মধ্যে এখনো ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত আনা যায়নি।
ধারণা করা হয়, দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এ অর্থ পাচার করা হয়েছে। রিজার্ভের এ অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। পর দিন ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন।
গত ১০ জানুয়ারি রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের এক ব্যাংক ম্যানেজারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির একটি আঞ্চলিক আদালত। ম্যানিলা ভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্প (আরসিবিসি) এর একজন সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোর বিরুদ্ধে এই রায় দেয়া হয়। মানি লন্ডারিং আইনে ৮টি অভিযোগে ৪ থেকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এতে তার মোট ৩২ থেকে ৫৬ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। রায়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ১০৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে।
চুরি করা অর্থ আরসিবিসির একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর তা ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ইন্টাস্ট্রিতে স্থানান্তর করা হয়। আরসিবিসির যে শাখায় এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছিল তারই ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন দেগুইতো।




Discussion about this post