নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আপিল আবেদন আদালত গ্রহণ করেছেন। একইসাথে নিম্ন আদালতের জারি করা অর্থদণ্ড ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের ক্রয়কৃত সম্পদ সরকারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি স্থগিত করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আপিল আবেদন গ্রহনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুনানি শেষে এই মামলার নথিপত্র আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন ও বর্তমান সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সালমা সুলতানা। আর রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. খোরশেদ আলম খান।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো: আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তার একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকেও একই দণ্ড দেন আদালত।




Discussion about this post