নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের নিরাপত্তার পাশাপাশি জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরআগে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের হোটেল ও ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছিলো ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার রমনা মডেল থানার উদ্যোগে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর আলোচনা সভায় এই আহবান জানান পুলিশের কর্মকর্তারা। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী মতবিনিময় সভা করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায় শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য শিক্ষকদের ভূমিকাও তুলে ধরেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপিকা দিলীপ রানী সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ) মোহম্মদ ইব্রাহীম খানসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে লালবাগ জোনের ডিসি মোহাম্মাদ ইব্রাহীম খান বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের খারাপ দিকগুলো নিয়ে নিজের আত্মীয়স্বজন ও পরিজনের সাথে আলোচনা করুন এবং পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকের প্রতি বিশেষ নজর রাখুন। কেউ মাদক ব্যবসা করলে পুলিশকে তথ্য দিন। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে তথ্য দিন নিরাপদে থাকুন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা এ দেশের প্রাণ। মানুষকে সত্য, ন্যায় ও সঠিক পথে আনতে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক বড়। আগে মনে করা হতো জঙ্গিবাদ মাদরাসা থেকে সৃষ্টি হয়। কিন্তু সমসাময়িক ঘটনায় দেখা গেছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সদস্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।’
জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও থানা, শেরেবাংলা নগর থানা ও আদাবর থানা বিভিন্ন বিটে স্থানীয়দের নিয়ে জঙ্গিবাদ বিরোধী উঠান বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসাররা বিভিন্ন স্কুল, কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মতিঝিল বিভাগের বিভিন্ন থানায় স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে জঙ্গিবিরোধী আলোচনা সভা করা হয়। এ ছাড়া রামপুরা থানার বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে জঙ্গিবিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য আলোচনা সভা করা হয়। ইমামদের জনসাধারণের মাঝে জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামের সঠিক ব্যাখা তুলে ধরার জন্য বলা হয়।
জঙ্গি ও মাদকবিরোধী এ গণসংযোগ সপ্তাহ চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত।
Discussion about this post