আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি মারা গেছেন। সোমবার আদালতে শুনানি চলাকালে হঠাৎ অচেতন হয়ে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
খবরে বলা হয়, মোহাম্মদ মুরসি আদালতে বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেয়া হয়। প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২০১১ সালে দেশটিতে ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মুরসির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় দেশটির আদালত। পরে তা বাতিল করে পুনর্বিচারের আদেশ দিয়েছিলেন।
চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও মাত্র এক বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ২০১৩ সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন মুরসি। পরে মিসরের এই প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সরকারবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনের সময় ২০১১ সালে দেশটির হাজার হাজার নাগরিককে কারাবন্দী ও শত শত নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুরসি সরকারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে কারাবন্দিদের বিরুদ্ধে গণআদালতে বিচারও শুরু হয়।
মুরসির মৃত্যু ভয়ানক, সঠিক চিকিৎসা হয়নি: এইচআরডব্লিউ
মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুকে ‘ভয়ানক কিন্তু অনুমেয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সোমবার (১৭ জুন) মুরসির মৃত্যুর খবরের পর এক টুইট বার্তায় এ মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পরিচালক সারাহ লি উইটসন। তিনি বলেন, মুরসির মৃত্যুর ঘটনা ভয়ঙ্কর। তবে এটি অনুমেয়। কারণ, দেশটির সরকার মুরসিকে সঠিক চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
Discussion about this post