বরিশাল প্রতিনিধি: বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বরিশালে এমভি মানামী লঞ্চ থেকে আটক চার যুবক রিফাত হত্যায় জড়িত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বরিশাল কোতয়ালী থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রাসেল ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়ে বলেন, আটককৃতদের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। তারা সবাই বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তাদের এক বন্ধুকে ঢাকায় যাওয়ার পথে এগিয়ে দিতে লঞ্চঘাটে এসেছিলেন।
এসি ও ওসি আরও বলেন, চার যুবককে আটকের পর তাদের গ্রামের বাড়িতে বরগুনা পুলিশের সহায়তায় খোঁজ নেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারকে থানায় ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) হাবিবুর রহমান খান জাগো নিউজকে বলেন, এদের আটকের পর বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ভিডিও ফুটেজের চেহারার সঙ্গে তাদের চেহারা বারবার মিলিয়ে দেখা হয়। এছাড়াও বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফ উপস্থিত থেকে তাদের যাচাই-বাছাই করেন। এক পর্যায়ে তাদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার আগমুহূর্তে এমভি মানামী লঞ্চ থেকে এই চার যুবককে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা সদর থানার পুলিশ। এর মধ্যে সকালে চন্দন নামে একজন ও দুপুরে মো. হাসান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন রাতে আরও এক আসামিকে গ্রেফতারের কথা জানান বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তবে তিনি ওই আসামির নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনা সরকারী কলেজ রোডে স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিফাতের পিতা দুলাল শরীফ বাদি হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।




Discussion about this post