নিজস্ব প্রতিবেদক: পরকীয়ার অপরাধে সাজাসংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এর আগে এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। বিবাদীদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব ও লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
এর আগে এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। রিটে ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ ছাড়া রিটে ৪৯৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার আবেদনও রয়েছে।
পরে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী কোনো স্ত্রী পরকীয়া করলে যার সঙ্গে পরকীয়া করবে শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে বা যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত হবে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার পাবেন না। বরং স্বামী যদি কোনো বিধবা বা অবিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তবে তা আইনত বৈধ।
অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক।




Discussion about this post