ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে র্যাবের সঙ্গেও ময়মনসিংহ শহরের বাদেকল্পা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে র্যাবের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ নুরুল কাদের রানা (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত নুরুল কাদের রানা মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
সোমবার ভোরে র্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব জানিয়েছে- নুরুল কাদের রানা বঙ্গোপসাগর এলাকার একজন কুখ্যাত জলদস্যু। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ সাতটি অস্ত্র ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশুকুর রহমান বলেন, নুরুল কাদের রানা বঙ্গোপসাগর এলাকার একজন কুখ্যাত দস্যু। গত ২৬ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার এমভি মা-বাবার দোয়া ও এমভি মাহিনে ডাকাতির মূলহোতা সে। তাকে ধরতে সোমবার ভোররাতে র্যাব-৭ এর সদস্যরা অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাবও গুলি করলে কিছুক্ষণ পর পিছু হটে তারা। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নুরুল কাদের রানাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তলসহ সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম খলিল (৩৭)। নিহত খলিল আন্তঃজেলা অটোচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে ৮টি অটোরিকশা চুরি মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। খলিল জামালপুর সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকচালা এলাকায় বসবাস করতেন।
রবিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের বাদেকল্পা এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিবির ওসি।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ শহরের বাদেকল্পা এলাকায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্যরা চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে চোরচক্রের সদস্যরা গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে চোরচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খলিলকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক খলিলকে মৃত ঘোষণা করেন।




Discussion about this post