ক্রীড়া প্রতিবেদক: পারিশ্রমিক বাড়ানো সহ ক্রিকেটারদের যাবতীয় সুবিধা আদায়ের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা। এজন্য তারা ১১ দফা দাবিও প্রনয়ন করেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রথম দাবিই ছিল ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াব এর সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
এই প্রসঙ্গে কোয়াবের বর্তমান দুর্জয় বলেন, কোয়াবের জন্য আমি আমার পকেটের টাকাও খরচ করেছি। হ্যাঁ, দায়িত্ব ছাড়তে হলে ছাড়বো, নতুন কেউ এসে দায়িত্ব নিবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কারও চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছিনা। কোয়াবের গঠনতন্ত্র আর সংবিধান মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন কাউকে আসতে হবে।
কোয়াবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল জানান, এটা নিশ্চিত যে আমি কোয়াবের দায়িত্বে আর থাকছি না। আমি সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুপুরে বিসিবির যে বৈঠক আছে, সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি আমি।
পারিশ্রমিক বাড়ানো সহ ক্রিকেটারদের যাবতীয় সুবিধা আদায়ের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়রা। বিসিবির চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার ও ঘরোয়া লিগের খেলোয়াড়রা মিলে সোমবার এই দাবি উত্থাপন করেছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। একাডেমি প্রাঙ্গণে মুশফিক,তামিম, সাকিব সহ একে একে সবাই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। ১১ দফা দাবি না মানা অবধি সব ধরনের ক্রিকেট খেলা, ক্যাম্প, অনুশীলন থেকে বিরত থাকবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এমতাবস্থায় বেশ অস্থিতিশীলতাই দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
সঙ্কট মোকাবেলার জন্য জরুরী বৈঠকের আয়োজন করেছে বিসিবি। সবার আগে দুপুরের বৈঠকে যোগ দিতে বিসিবিতে এসে হাজির হলেন পরিচালক আকরাম খান। সোমবার তিনি ছিলেন চট্টগ্রামে। জরুরি ডাক পেয়ে ঢাকায় উড়ে এসেছেন। সেখান থেকেই বিসিবিতে হাজির।
যদিও বর্তমান ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া বা অধিকার পূরণে কোয়াবকে সক্রিয় দেখা যায়নি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। ক্রিকেটাররা কোয়াবের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটির পদত্যাগ দাবি করেন এবং নতুন নেতৃত্বকে নিজেদের ভোটের মাধ্যমে বাছাই করার দাবি জানান।
Discussion about this post