নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর আজকের দিনেই ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি ছবি ভাইরাল হয়।
নুসরাতের কবরে ফুটেছে লাল ও সাদা গোলাপ। প্রকৃতির এই খেলার সাথে মিলে গেছে একটি প্রতীকী চিত্র। যেন রায়ের দিনে কবরে লাল গোলাপ হয়ে ফুটে উঠেছে নিহত নুসরাত। আর সাদা গোলাপ হয়ে সে যেন সারা দুনিয়াকে বার্তা দিচ্ছে শান্তির।
এলাকাবাসী জানায়, রায়ের দিনে নুসরাতের কবরে বাঁশের বেড়ার মধ্যে ফুটন্ত সাদা ও লাল গোলাপের ছবি দেখা গেছে; যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। রায়ের দিনে ফেসবুকে কবরের পাশে ফুটন্ত গোলাপের ছবি নিয়ে নুসরাতের জন্য জান্নাত কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছে, ফুল ফুটেছে রাফির কবরে; ফেনীর আদালত থাকবে সারাদেশের মানুষের নজরে।
নুসরাতের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়ায় এবং তাকে গ্রেফতার করায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা নুসরাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে নুসরাত অপারগতা দেখায়। পরে ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষা হল থেকে তাকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়।
এরপর গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু বরণ করে নুসরাত। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই।




Discussion about this post