নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে ৬ মাসের জামিন পায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, কারাগারে থাকা বিএনপির এই সংসদ সদস্যের কারামুক্তিতে আর আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। হারুন অর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সাথে ছিলেন- আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান; মাহবুবউদ্দিন খোকন; হারুনের স্ত্রী আইনজীবী সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে ৫ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ৬ মাসের জামিন পায় হারুন। পাশাপাশি তার জরিমানাও স্থগিত করা হয়। সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই নেতা।
Discussion about this post