নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যাসিনোকান্ডে যুবলীগ বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুদকের ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের ডিডি জাহাঙ্গীর আলম। দুদকের আরেক ডিডি সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সম্রাটকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত। একই দিন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানকে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরাণীগঞ্জের কারাগারে।




Discussion about this post