কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যার বিচার করা হোক।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যায় অংশ নিয়েছে, বাকি ১৪ জন বিভিন্নভাবে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত।
আবরারের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িত চার আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। সেই সঙ্গে গ্রেফতার আসামিরা যাতে আইনেই ফাঁক গলে জামিন না পায় সে বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন জানাই।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যা মামলার খরচ দিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিচ্ছে জানিয়ে বরকত উল্লাহ জানান, বুয়েট প্রশাসন মামলার খরচ চালানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে আমরা চাই নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করতে। কিন্ত এ বিষয়ে এখনও কোনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আমি সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চলতি বছরের গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। আবরার বাড়ি কুষ্টিয়ার শহরের পিটিআই সড়কে। আবরারের বাবা বরক উল্লাহ বর্তমানে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছেন।




Discussion about this post