গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় দুই জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির লুণ্ঠিত ৪৩ ভরি স্বর্ণলঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রূপা ও নগদ টাকাসহ ১০ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সঞ্জয় সরকার ও বিবেক পাল স্বর্ণের ব্যবসায়ী। তারা স্বর্ণের ব্যবসার পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ওই তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মনির মোল্যা ওরফে মনির ওরফে আকুব্বর হোসেন আকু (৩৮), আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৪০), মো. রানু শেখ ওরফে নান্নু শেখ (৩৮), মো. সাইদুর সরদার (৪৪), বাদশা প্রামাণিক ওরফে বাবু ওরফে বাদশা বাবু (৩৮), নাজমুল (২৬), সঞ্জয় সরকার (৪০), মো. সুজন (২৪), মোসাম্মৎ ছুম্মা খাতুন (৩২) ও বিবেক পাল (৪২)।
এসপি জানান, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একদল ডাকাত শ্রীপুরের জৈনাবাজারের গফুর সুপার মার্কেটের নিউ দিপা জুয়েলার্স ও লক্ষ্মী জুয়েলার্সে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ছুড়ে ও ভয় দেখিয়ে ৮০ ভরি স্বর্ণ, ৫০০ ভরি রূপা ও নগদ চার লাখ ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে দিপা জুয়েলার্সের মালিক দেবেন্দ্র কর্মকার গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনার দিনের সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং ২২ নভেম্বর ও ২৩ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত ৪৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রূপা, এক লাখ ৫৬ হাজার ৩২০ টাকা, ৭টি ককটেল, একটি চাপাতি ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
এসপি আরো জানান, তাদের মধ্যে মনির কালিয়াকৈর এলাকার ভান্নারা এলাকায় এবং আলমগীর গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় ভাড়া থেকে ঝুট ব্যবসা ও পোশাক কারখানার চাকরির অন্তরালে ডাকাতি কাজে জড়িত। মনিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, ডাকাতিসহ ১১টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে। ঢাকার আশুলিয়ায় সঞ্জয় সরকার ও ধামরাইয়ে বিবেক পালের স্বর্ণের ব্যবসা রয়েছে। তারা লুণ্ঠিত স্বর্ণ ও রূপা গলিয়ে অলঙ্কার বানিয়ে বিক্রি করতেন।




Discussion about this post