হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের টেন্ডার নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম সরেজমিন মেডিকেল কলেজে গিয়ে ওই টেন্ডারের নথিপত্র নিয়ে যায়।
সম্প্রতি দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিকে এই মেডিকেল কলেজের কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে বইপত্র, সাময়িকী, যন্ত্রপাতিসহ অন্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানের আদেশে ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. শাহীন ভূঁইয়াকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের বাজার দর যাচাই কমিটি করা হয়।
মূল্যায়ন রিপোর্টে সদস্যদের স্বাক্ষর ছাড়াই ঢাকার শ্যামলী এলাকার বিশ্বাস কুঞ্জছোঁয়া ভবনের ‘নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ’ ও মতিঝিলের মঞ্জুরি ভবনের পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়। মালামাল ক্রয় বাবদ ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশি নয়। বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে।
তদন্ত নিয়ে কথা হয় দুদকের সহকারী পরিচালক এরশাদ মিয়া জানান, সম্প্রতি গণমাধ্যমে এই মেডিকেল কলেজের ১৫ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এটি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এসেছে। এছাড়াও ১০৬ নম্বরেও অভিযোগ এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা তদন্তের স্বার্থে কলেজে যাই। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানকে পাওয়া যায়নি। তবে কেনাকাটার রেকর্ডপত্র নিয়ে এসেছি। এগুলোর বাজার দর যাচাই করে রিপোর্ট দেয়া হবে।
Discussion about this post