ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের করা ৬০টি পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। এই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে নোটিশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জানুয়ারি। তবে আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশের আবেদন মানতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সংক্ষিপ্ত শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৬০টি আবেদন ওঠে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে। যারা পিটিশন দাখিল করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও আসাম রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপির শরিক দল আসাম গণ পরিষদ।
পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বে অনুমোদন পাওয়ার ভিত্তি কখনওই ধর্ম হতে পারে না। আবেদনকারীদের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল ভিত্তির বিরোধী কারণ- এই নতুন আইনে বেআইনি শরণার্থীদেরও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। এতে লঙ্ঘন করা হচ্ছে সংবিধানের মৌলিক অধিকার।
পিটিশনকারীদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানের আবেদন ছিল, আইন এখনও বাস্তব রূপ পায়নি। নিয়মকানুনও এখনও জারি হয়নি। কাজেই আপাতত এই আইন স্থগিত করা হোক।
পরে তার বক্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল বলেন, আইনে এভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। সূত্র: এই সময়




Discussion about this post