নিজস্ব প্রতিবেদক: মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ট সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ খানকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তারের পর খালেদের টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন আয়ের উৎসের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মোহাম্মদ উল্লাহ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কমলাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী প্রথম অভিযানে খালিদ ভূঁইয়ার ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। জব্দ করা হয় দেড় ডজন এনালগ ও জিজিটাল ক্যাসিনো বোর্ড, নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এ সময় খালেদের টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে খালেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সিআইডি কর্মকর্তা শারমিন জানান, ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় খালিদ ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদ উল্লাহ খানের নাম পাওয়া যায়। তাকে ধরতে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছিল। খালেদ গ্রেপ্তার পর তিনি গা ঢাকা দেন। অবৈধভাবে খালেদের উপার্জিত বিভিন্ন আয়ের সার্বিক হিসাব-নিকাশ ও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি খালেদ ভূইয়ার মালিকানাধীন ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া ডেভেলপার লিমিটেডের জিএম ছিল।




Discussion about this post