নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকের বিস্তার রোধে একটি হটলাইন সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এই হটলাইন নম্বরে ফোন করে মাদক সম্পর্কে যে কোনো রকম তথ্য জানাতে পারবে সাধারণ মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) এই হটলাইন সেবা চালু করছে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এনিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রতিষ্ঠানটির ডিজি জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মাদক সমস্যা নির্মূলে কর্তৃপক্ষের সাথে জনগণকে সংযুক্ত করাই এই হটলাইন সেবা চালু করার মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেছেন, তবে মাদকের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা কর্তৃপক্ষ যত কঠোর অবস্থানেই থাকুক না কেন, জনগণ নিজে থেকে মাদক নিরাময়ে পদক্ষেপ না নিলে এই সমস্যা পুরোপুরি কখনোই সমাধান করা সম্ভব নয়।
কী ধরণের তথ্য জানানো যাবে? জবাবে তিনি বলেন, নতুন এই হটলাইন সেবায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা যাবে। এবং এই হটলাইনের বহুমুখী ব্যবহার সম্ভব হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, হটলাইনের প্রধান লক্ষ্য, মাদক ব্যবসায়ী সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়া হলে আমরা তা পর্যালোচনা ও যাচাই বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিয়মিত যেসব সেবা দিয়ে থাকে, সেগুলোও এই হটলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
অপব্যবহার রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে?
বছরখানেক যাবত মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এক শ’রও বেশি অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। অভিযুক্ত অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে এরকম অভিযোগ রয়েছে যে ব্যক্তিগত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে বা প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে মাদকের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে নির্দোষ মানুষকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও এরকম কিছু ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন।
নতুন হটলাইন সেবাকে ব্যবহার করে এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন জামাল উদ্দীন আহমেদ জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের গতিবিধি সম্পর্কে নজরদারি করতে বেশ কিছুদিন ধরে একটি সফটওয়্যার ভিত্তিক ব্যবস্থা ব্যবহার করছেন তারা, যার সাহায্য কর্মীদের ‘যথাযথ শৃঙ্খলা’র মধ্যে আনার ক্ষেত্রে অনেকটা সফলতা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
ফিল্ড কোর্স মনিটর নামের ঐ সফটওয়্যার ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে আমাদের কর্মকর্তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। তার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কোন কর্মকর্তা কখন কোথায় রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি
Discussion about this post