নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চাঞ্চল্যকর শরীফ হত্যা মামলায় মো. মিলন প্রকাশ ওমর ফারুক নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন চর মহিউদ্দিন গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। নিহত শরীফ একই এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালা উদ্দিন আহম্মেদ এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। রায় ঘোষনার সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মিলন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ শে মে সুবর্ণচর উপজেলার চর মহি উদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা মিলন ও নিহত শরীফ স্থানীয় একটি ইট ভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। একসাথে কাজ করার সুবাদে শরীফের বাড়ীতে প্রায় যাতায়াত করতো মিলন। আসা যাওয়ার মধ্যে শরীফের বিবাহযোগ্য বোনের সাথে মিলনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এনিয়ে শরিফের সাথে মিলনের বাকবির্তক ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মিলনকে তাদের বাড়ীতে আসতে নিষেধ করে দেয় শরীফ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফের ওপর প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে মিলন।
পরে ২০১৭ সালের ২৮ মে বিকেলে শরীফ তার চর মহিউদ্দিন গ্রামের নিজ বসত ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলো। ওইসময় মিলন তাদের বাড়ীতে গিয়ে শরীফকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে পরিবারের লোকজন শরীফকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বাদী মিলনকে আসামী করে চরজব্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিলনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে মিলনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদিন আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষ্যিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালা উদ্দিন আহম্মেদ মিলন প্রকাশ ওমর ফারুককে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
আদালতের পিপি এড. গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, আদালত মোট ২৪জন সাক্ষ্যির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে একমাত্র আসামী মিলনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. শিব নাথ ভৌমিক।
Discussion about this post