অবসরে গেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ। উচ্চ আদালতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ছিল তার শেষ কর্মদিবস। অবসরে যাওয়ার আগে তাকে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি একটি এতিম খানার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমার হাজার হাজার ছেলেমেয়ে আছে। আমার শেষ ইচ্ছা, বাকি জীবন এতিম বাচ্চাদের মাঝে থেকেই তাদের ভালোবাসায় বিদায় নিতে চাই। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার আন্তরিক প্রার্থনা, গোটা বিশ্বের সব মানুষকে এ মহামারি থেকে রক্ষা করুক। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিচারিক জীবনের শেষ কার্য দিবসে অনলাইনে আইনজীবীদের দেয়া সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ শতাধিক আইনজীবী অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে এ বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
তিনি বলেন, ‘বার এবং বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক। বার ছাড়া যেমন বেঞ্চের অস্তিত্ব থাকে না। তেমনটি বেঞ্চ ছাড়া বারের অস্তিত্ব থাকে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং বিচারপ্রার্থী জনগণকে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। আমার কার্যক্রমে আমি আপনাদের সঙ্গে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। আজকে থেকে প্রায় ৩৭ বছর আগে ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মুনসেফ পদে বিচার বিভাগে আমি যোগদান করেছিলাম। চাকরির চিরন্তন নিয়ম অনুযায়ী আজ চাকরি থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি। বিদায় নিচ্ছি এতে আমার কোনো কষ্ট নেই, দুঃখ নেই বরং আমি ভারমুক্ত।’
সিনিয়র আইনজীবীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে এ বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে যারা জুনিয়র আইনজীবী আছেন, তারা যেন বর্তমান সময়ে কঠিন সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুষ্ঠুভাবে এবং সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। কেননা আমিও একদিন জুনিয়র আইনজীবী ছিলাম। সেহেতু জুনিয়রদের দুঃখ আমি বুঝি।’
তিনি বলেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা, এতিম বাচ্চাদের মাঝে থেকেই তাদের ভালোবাসায় আমি বিদায় নিতে চাই। পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার আন্তরিক প্রার্থনা গোটা বিশ্বের সব মানুষকে এই মহামারি থেকে রক্ষা করুক। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’
Discussion about this post