রায় ও আদেশের কপি জমা দেবেন, কিন্তু মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সোমবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মাজার গেটের বটতলায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি আজ আমার নেক্সট বিচারপতি বিচারপতি ইমান আলীর কাছে যাচ্ছি আমার লেখা ১৫টি রায় ও ৭০টি আদেশের কপি জমা দিবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যে সকল মামলা পরিচালনা করেছি, সে সকল মামলার রায় ও আদেশের কপি জমা দিবো। মামলার নথিপত্র জমা দিবো না।’
সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে অনুমতি না নিয়ে কোনো ধরনের প্রেসকনফারেন্স করা নিষিদ্ধ করার পরেই বিদায় নেয়া এই বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টর বটতলায় সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করলেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ করেছিলেন, তার লেখা রায় ও আদেশ গ্রহণ করা হচ্ছে না। তিনি রায় ও আদেশ গ্রহণ করার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন।
তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি।
এর আগে ঢাকার বাইরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, অবসরে যাওয়ার পর কোনো বিচারপতি রায় লিখতে পারেন না। এটা অবৈধ।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিচারপতি মানিকের তিক্ততা প্রকাশ্য এসেছে।
এর আগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে চিঠি লেখেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তবে আপিল বিভাগ কোনো চিঠি পায়নি বলে জানানো হয়।
Discussion about this post