বিডি ল নিউজঃ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো: সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ দেশের সকল হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরিয়ে হার্টের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও রিং গ্রহণ এবং রোগীদের দেহে তা প্রতিস্থাপনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ‘মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরিয়ে হৃদরোগ চিকিৎসার ভয়াবহ তথ্য’ সংক্রান্ত চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একটি টিভি রিপোর্ট আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। এই সংবাদটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী জায়দী হাসান। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোর অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের বার্তা সম্পাদককে এই রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করে তা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১ মার্চ পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে। টিভির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গত সাত মাসে বেশ কিছু রোগীর দেহে এই মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোর খবর পাওয়া গেছে।’ রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসার পরেও রোগীরা এমনিতেই ঝুঁকিতে থাকেন। তার ওপর মেয়াদ পার হওয়া রিং পরানো হলে, এই ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়বে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই রিং রোগীদের তেমন ক্ষতি করবে না।’ তবে, রিং এর নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে, মেয়াদ পার হলে এটি কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
Discussion about this post