নিজস্ব প্রতিবেদক: হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ, মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অক্সিজেনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানোর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব,ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইদানিং লক্ষ্য করছি, করোনা চিকিৎসার জন্য বহুল ব্যবহৃত মেডিক্যাল অক্সিজেন এবং এই সংক্রান্ত ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ওষুধগুলো কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রকৃত দামের থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের অবস্থা আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে এবং তাদের জীবনহানির আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘করোনা মোকাবিলায় এবং করোনা মহামারি রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই দুর্যোগকালীন সময়ে ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। ওষুধের দাম বাড়িয়ে এই করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষকে অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।’
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ‘অনেক ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি শুধু সিন্ডিকেট করে ওষুধের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিই নয় অনেক ক্ষেত্রে মানহীন এই মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বাজারে সরবরাহ করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দুর্যোগের মধ্যে অসাধুভাবে মুনাফা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যা এই মুহূর্তে বন্ধ করা খুবই জরুরি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ জুন হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। কিন্তু সে নোটিশের কোনও জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।
Discussion about this post