জেলায় সোমবার রাতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নিহত যুবক নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান একজন জেএমবি সদস্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলার পলাতক আসামি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, পরিবারের সদস্যরা নজরুলের লাশ দেখে তাকে শনাক্ত করেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নজরুল একজন সক্রিয় জেএমবি সদস্য। সে অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলার পলাতক আসামি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম হত্যা মামলার দুই পলাতক আসামিকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে গত ২৯ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। পুরস্কার ঘোষিত দুইজনের মধ্যে একজন এই নজরুল ইসলাম। তার বাড়ি পঞ্চগর জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারহার গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল্লাহ মিয়া।
পুলিশ জানায়, রেজাউল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নজরুলের সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার ও মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত ৩টার দিকে মহানগর ডিবির একটি দল আশরাফের মোড় এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ককটেল নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। ডিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত ওই যুবককে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৭ মে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রফেসর রেজাউল করিম সিদ্দিকী। হত্যাকাণ্ডের পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনে নামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং পুলিশের আইজিপির আশ্বাসে লাগাতার অন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
Discussion about this post