পাকিস্তানে অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি পাওয়া নারীদের হটলাইনের মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছেন এক মানবাধিকারকর্মী। ওই মানবাধিকারকর্মীর নাম নিঘাত দাদ। তিনি ডিজিটাল রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি বাকস্বাধীনতার পক্ষে ও হয়রানির বিরুদ্ধে কাজ করে।
২০১২ সালে ডিজিটাল রাইটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন নিঘাত। ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর ভুক্তভোগী নারীদের পরামর্শ ও আইনগত দিকনির্দেশনা দেন তিনি। গত বছরের জুলাইয়ে মডেল ও ফেসবুক তারকা কানদিল বালুচ খুন হওয়ার পর ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেতে আগ্রহী নারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী নারীদের সহায়তা দিতে গত বছরের ডিসেম্বরে একটি হটলাইন চালুর সিদ্ধান্ত নেন নিঘাত। লাহোরের কার্যালয় থেকে এই হটলাইন-সেবার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন দিনে হটলাইনে অনেক কল আসে।
বাস্তব জগৎ বা অনলাইন—কোনোটি পাকিস্তানি নারীদের জন্য অনুকূল নয়। বরং অনলাইনের হুমকি-ধমকি কখনো কখনো বাস্তবে রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া নারীরা অনলাইনে নানা ধরনের হয়রানিরও শিকার হন।
লাহোরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইমান সুলেমান। একটি প্রদর্শনীর জেরে তিনি ও তাঁর সহপাঠীরা অনলাইনে হয়রানির শিকার হন। পান হুমকি। পরে সহায়তার জন্য মানবাধিকারকর্মী নিঘাতের শরণাপন্ন হয়ে সহায়তা-সমর্থন পান ইমান।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী ইমান বলেন, সারাক্ষণ হামলার ভয় তাঁকে তাড়া করত। এই দেশে যেকোনো কিছুর জন্যই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
নিঘাত একজন আইনজীবীও বটে। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের সহায়তা করে ইতিমধ্যে খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।
নিঘাত বলেন, প্রথম দিকে তাঁরা এই কথা জানাতে চাইতেন যে, ভুক্তভোগীদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে। ভুক্তভোগীদের চুপ করে থাকার দরকার নেই। এখন অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি পাওয়া নারীদের আইনগত পদক্ষেপের বিষয়েও দিক্নির্দেশনা দিচ্ছেন নিঘাত -খবর এএফপির
Discussion about this post