এছাড়া একই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদর ও বারইয়ারহাট পৌর বাজারে পৃথক মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মিরসরাই শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সিএনজি অটোরিকশা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশের বেশিভাগ অংশে কোনো বাইপাস নেই। কিন্তু ভৌগলিক কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিস, থানা-প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, রেলস্টেশন, হাট-বাজার, হাসপাতাল, শিক্ষা-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠে। বাইপাস বা বিকল্প সড়ক না থাকায় আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়ক হয়ে মহাসড়কে পৌঁছে তারপর এসব গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালতে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়।
আর এক্ষেত্রে আটোরিকশাকে মানুষ একমাত্র ও সহজ পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোতে বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই গ্রামীণ সড়কে আটোরিকশা চালিয়ে আয়ের টাকায় সংসার চালানো পুরোপুরি কাল্পনিক ও অসম্ভব। তাই বাইপাস সংযোগ সড়ক বা বিকল্প বাহনের ব্যবস্থা না করে মহাসড়কে আটোরিকশা বন্ধ করা হলে এ পেশার সংশ্লিষ্টরা রোজগারহীন হয়ে না খেয়ে মরবে। উপজেলায় বর্তমানে সাড়ে পাঁচ লাখ জনগণের সবাই কোনো না কোনোভাবে আটোরিকশা ব্যবহারে নির্ভরশীল।
তাই সেতুমন্ত্রীর এই একতরফা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পাশাপাশি মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে শ্রমিক দরদী ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি প্রত্যাশায় শনিবার দিনভর সব রুটে অটোরিকশা বন্ধ রাখাসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে জানান শ্রমিক নেতারা।
Discussion about this post