নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। এলক্ষে সংগঠনের ভেতর অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিটের সাংগাঠনিক নেতারা, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের যাচাই-বাছাই শুরু করেছি। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনও ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। গতকাল (মঙ্গলবার) ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকে কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সাংগাঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় আবরার হত্যাকাণ্ডের পরবর্তীতে তাদের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। ছাত্রলীগ এ ধরনের সহিংসতাকে জায়গা দেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জনকে বহিষ্কার করি। তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, এজাহারভুক্ত ১৯ জনের ১৩ জনকে গ্রেফতার করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। বাকিদেরও গ্রেফতার করে যেন বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
জয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা নজিরবিহীন। ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন লক্ষ্য রাখতে যাতে কারও কর্মকাণ্ডে উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমার চোখে সব অপরাধী সমান, আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।
গেস্টরুম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, গেস্টরুম ভালো সংস্কৃতি। গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের কোনো নির্যাতন করা হয় না, বরং ভালো কিছু শেখানো হয়। এখানে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক নিয়ম-কানুন শেখানো হয়। ছাত্রলীগ এটাকে পজিটিভ হিসেবেই দেখছে। গেস্টরুমে নেগেটিভ কিছু অত্যন্ত কম হয়।
Discussion about this post