মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই একশো কোটি টাকার পণ্য কেনার ক্ষমতা পাচ্ছে সরকারি সব প্রতিষ্ঠান।
আর পূর্ত কাজের জন্য ৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা যাবে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় এসব প্রতিষ্ঠানের এককভাবে ৫০ কোটি টাকার পণ্য কেনার ক্ষমতা রয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্প ও অনুন্নয়ন বাজেটের পূর্ত কাজের জন্য এ আর্থিক সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ। অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প কাজ শেষ করতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি সংশোধন প্রস্তাব করা হয়।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভা কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো অর্থ বিভাগের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এককভাবে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর এবং অধঃস্তন দফতর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পূর্ত কাজ এবং যন্ত্রপাতি সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা কিনতে পারবে। তবে এর চেয়ে বেশি টাকার পণ্য কিনতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।
অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পূর্ত কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানও ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য এককভাবে কিনতে পারবে। তবে পূর্ত কাজের যন্ত্রপাতি কেনায় পূর্ব নির্ধারিত ৫০ কোটি টাকাই থাকবে।
এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক নিয়েগের ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকা এককভাবে খরচের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনার জন্য বলা হয়।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় দুটি ক্ষেত্রেই পরামর্শক নিয়োগে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়া এককভাবে ব্যয় সীমা ছিলো ১০ কোটি টাকা। পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা চুক্তি অনুমোদনের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের যেকোনো প্রস্তাব এবং পরামর্শক সেবার জন্য ১০ কোটির ঊর্ধ্বে যে কোনো প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিতে পাঠাতে হয়।
সংশোধন প্রস্তাবের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে কমিটি ৮ হাজার ২৬ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। যা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বেড়ে ৬৬ হাজারা ৬১ কোটি টাকায় বেড়ে দাঁড়ায়। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আর্থিক ক্ষমতা কম থাকায় ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য অনেক প্রস্তাব পাঠাতে হয়। এসব প্রস্তাব যথাসময়ে ও যথাযথভাবে অনুমোদন দেওয়া কমিটির জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাছাড়া কমিটিতে এসব প্রস্তাব পাঠানো এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
Discussion about this post