যেক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তুর স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জরুরী প্রয়োজন দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আদালত বিবাদীপক্ষকে নোটিস প্রদান না দিয়েই শুধু মাত্র বাদীপক্ষকে শুনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন। এই প্রকার নিষেধাজ্ঞাকে অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা (Ad-interim Injunction) বলে। আবার অন্য কথায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার শুনানি এবং এই বিষয়ে আদেশ দেবার পুর্বে যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা হয় তাকে অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা বলে।
বিবাদীপক্ষকে নোটিস দিয়ে শুনানির মাধ্যমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে গেলে সে সময়ের মধ্যে যদি মামলার বিষয়বস্তুর ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকে তাহলে আদালত অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলার বিষয়বস্তুকে তাৎক্ষনিকভাবে স্থিতি অবস্থায় রাখাই অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য।
দেওয়ানী কার্যবিধি ২য় সংশোধনী আইন ২০০৩ কার্যকর হবার পর বর্তমানে আদালত অন্তর্বতিকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি না করে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ৫ক(২) বিধিতে বলা হয়েছে যে, “আদালত সাধারণত বিবাদীপক্ষকে শুনানি না করে একতরফা ভাবে কোন অন্তর্বতিকালীন বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করবেন না।”
তবে এই বিধিতে অন্তর্বতিকালীন বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা একে বারেই নিষেধ করা হয়ে নাই। ৫ক(৩) বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালত সরকার ব্যতীত অন্যকোন পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার ছাড়া অন্যকোন পক্ষের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে বিবাদী পক্ষ আদালতে হাজির হবার ৭(সাত) দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। বিবাদীপক্ষ শুনানি মুলতবির আবেদন করলে অন্তর্বতিকালীন বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পরবর্তি সময় পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারবে, কিন্তু আবেদনকারী পক্ষ কর্তিক শুনানি মুলতবির আবেদন করলে তা তাৎক্ষনিক ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
Discussion about this post