আবুজার গিফারী (২৩) ও শামীম হোসেন (২২) নামে ঝিনাইদহের দুই অনার্স পড়ুয়া ছাত্রশিবির নেতাকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার লাউখালি শ্মশান এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত আবুজার গিফারী যশোর সরকারি এমএম কলেজের অনার্স বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষে ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও উপজেলার চাপালী গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। গত ১৯ মার্চ তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
অপরজন শামীম হোসেন ঝিনাইদহ কেসি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ছাত্রশিবিরের সাথী সদস্য ও খয়েরতলা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। তাকে ২৪ মার্চ অপহরণ করা হয়েছিল।
আবুজার গিফারীর ভাই আবদুস সামাদ জানান, গত ১৯ মার্চ দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা জামে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে গান্না সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা আবুজার গিফারীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
নিহত শামীমের মামা ইমরান হোসেন জানান, গত ২৪ মার্চ বিকেলে কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ গেট থেকে শামীম হোসেনকে দুর্বৃত্তরা দুটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পর দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
যশোর সদরের ফুলবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফারুক হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঝিনাইদহের বারোবাজার সীমান্তে যশোর সদরের লাউখালি শ্মশান এলাকা থেকে আবুজার ও শামীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠনো হয়েছে।
এদিকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে, নিহত আবুজার ও শামীম তাদের দলীয় নেতা।
Discussion about this post