শুক্রবার রাত থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্ত মানুষ। রোববার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হওয়ার কারণে যান চলাচল সংকুচিত হয়ে পড়ে।
এতে চরম দুর্ভোগ পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। পাশাপাশি নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া নগরবাসীকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ি না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
শুক্রবার থেকে তুমুল বর্ষণের পর শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হয়। রোববার সকাল টানা বর্ষণে নগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার রাতভর বৃষ্টির কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাসা, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়ক পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। একটানা বৃষ্টির কারণে নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর অক্সিজেন, হামজারবাগ, মুরাদপুর, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, নাসিরাবাদ, বায়োজিদ, ষোলশহর, চকবাজার, পাঁচলাইশ, ডিসি রোড, খাজা রোড, চান্দগাঁও, মোহরা, বাকলিয়া, চাক্তাই, কোরবানিগঞ্জ, মাস্টারপুল, বৌ বাজার, মিয়াখান নগর, রাজাখালী, দেওয়ানবাজার, আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, সিডিএ, হালিশহর, পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, সাগরিকা, কাঁচারাস্তার মাথা ও পতেঙ্গার নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকা, মুরাদপুর, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, মেহেদীবাগ এলাকায় সড়কে হাটু থেকে কোমর পানি। ফলে এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বল্প দুরত্বে গাড়ি চলাচল করলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
পানি ঢুকে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসেও। বাসা-বাড়িতেও কোমর সমান পানি। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে বেচাকেনা। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোকজন ভ্যান গাড়ি ও হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে।
Discussion about this post