অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এক তরুণকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালত। পরিবারের দাবি, চার বছর আগে কিশোর বয়সে কুড়িয়ে পাওয়া অস্ত্র নিজ বাড়িতে বসে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে ওই তরুণের বাঁ হাত গুলিবিদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পরই অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ।
গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অপরাধে কে এম শামছুল হুদা ইশতি (১৯) নামের ওই তরুণকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ইশতির বাবার নাম কাশেম খান। চাঁদপুর শহরের মিশন রোডে তাঁদের বাসা। বাবা সরকারি চাকরি করেন এবং মা শামীমা সুলতানা স্কুলশিক্ষক। ইশতি তাঁদের একমাত্র সন্তান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর। ওই সময় ইশতির বয়স ছিল ১৫ বছর। সে শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত।
পরিবারের দাবি, চট্টগ্রামে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল ইশতি। ওই সময় পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে অস্ত্রটি কুড়িয়ে পায় সে। চাঁদপুরে নিজের বাসায় চলে আসার পর অস্ত্রটি বাথুরমে নিয়ে কৌতূহলবশত নাড়াচাড়া করে সে। হঠাৎ করে পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়ে এসে তাঁর বাঁ হাতে বিদ্ধ হয়। ঘটনা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পিস্তল ও চারটি গুলিসহ ইশতিকে আটক করে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার পরদিন ১৯ নভেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
সরকারপক্ষের আইনজীবী হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল কর্মকার ২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ চার বছর মামলাটি চলেছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এর ক ধারায় ইশতিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তিনি জানান, ইশতির পরিবার অস্ত্রটি কুড়িয়ে পাওয়া বলে দাবি করলেও তা প্রমাণ করতে পারেনি।
Discussion about this post