বিডি ল নিউজঃ দিল্লি ম্যাচের আগে স্বস্তি নাইট শিবিরে৷ তৃতীয় বায়োমেক্যানিক্যাল অ্যানালিসিসের পর সুনীল নারিনকে ক্লিনচিট দিল বিসিসিআই৷ পাশাপাশি, অবশ্য চূড়ান্ত সতর্কবাণীও দেওয়া হয়েছে ক্যারিবিয়ান মিস্ট্রি স্পিনারকে৷ ফের তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠলে দেড় বছর মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তাঁকে৷ তবে, আপাতত চলতি আইপিএলে তাঁর বল করতে আর কোনও বাধা রইল না৷
বিতর্কের সূত্রপাত চলতি আইপিএলে। গত ২২ তারিখ বিশাখাপত্তনমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারের বিরুদ্ধে ফের অবৈধ অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে। এরপরই শনিবার (২৫ তারিখ) চেন্নাইতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) মনোনীত শ্রীরামচন্দ্র আর্থোস্কপি অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টার (এসআরএএসএসসি)-এ এই তারকা নাইট বোলারের অ্যাকশনের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করানো হয়।
পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে গত ২৮ তারিখ নারিনের অফ-স্পিনারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিসিসিআই। বোর্ডের তরফে জানানো হয়, ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ এবং পরীক্ষার ফলাফল খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়, আইপিএল সন্দেহজনক অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নীতি অনুসারে নাইট রাইডার্সের এই নির্ভরযোগ্য অফ-স্পিনারের বোলিং ক্রিকেট ম্যানুয়ালের ২৪.২ এবং ২৪.৩ আইন ভঙ্গ করছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে পুরোপুরি নিষিদ্ধ না হলেও নারিনের থেকে তাঁর প্রধান অস্ত্রই কেড়ে নেওয়া হয়। বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, অফ-স্পিন করতে পারবেন না এই অফ-স্পিনার! তবে, ‘নাকল বল’ এবং ‘কুইকার স্ট্রেটার’ ডেলিভারি করতে পারবেন তিনি। এরপর ফের চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দেন কেকেআর স্পিনার৷ সেখানে বায়োমেক্যানিক্যাল অ্যানালিসিস করানো হয় এই ক্যারিবিয়ান তারকার। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ডের রায়ে শর্তসাপেক্ষ রেহাই৷ ফলে, এখন নিজের প্রধান বল, অফ-স্পিন করতে পারবেন এই মিস্ট্রি অফ-স্পিনার।
এই প্রথম নয়। এর আগেও এই মিস্ট্রি বোলারের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ চলাকালীন নারিনের ‘দুসরা’ সন্দেহের তালিকায় চলে এসেছিল। সেই সময়ও দু-ম্যাচে পরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বিসিসিআই তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ফলে, ফাইনাল ম্যাচে তাঁকে ছাড়াই নামতে হয়েছিল গম্ভীরদের।
এরপর ফের বিশ্বকাপের আগে তাঁর বোলিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আইসিসি তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যার জেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে জায়গা পাননি এই বোলার। বিশ্বকাপের পরে আইসিসি তাঁকে ছাড়পত্র দিলেও, আইপিএলের আগে বিসিসিআই-এর নিজস্ব পরীক্ষাকেন্দ্রে তাঁকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post