বিডি ল নিউজঃ
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ সেদেশের জেলেদের নির্দেশ দিয়েছে যেন তারা ওই অঞ্চলে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসীদের নৌকাগুলোর আরোহীদের কোন রকম সাহায্য না করে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ড থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড জানাচ্ছেন, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী ভর্তি আরো নৌকা ইন্দোনেশিয়ার দিকে আসছে।
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের জেলেরা বলেছে, তারা কমপক্ষে দুটি নৌকা ইন্দোনেশিয়ার উপকুলের দিকে যেতে দেখেছে।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড – এই তিনটি দেশের উপকুলের কাছে আন্দামান সাগরে এখনও ভাসছে হাজার হাজার লোকভর্তি নৌযান। এই অভিবাসীদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী, যারা মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যম নৌপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে দেশ ছেড়েছিলেন।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের জঙ্গলে অভিবাসীদের গোপন শিবির, গণকবর এবং বহু মৃতদেহ পাওয়া যাবার পর এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তার পর থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়া এই অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাগুলো তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না।
তবে কয়েকশ লোক ইন্দোনেশিয়ার আচেহতে শিবিরে আশ্রয় পেয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে যেন শুধুমাত্র কোন নৌকা ডুবে যেতে থাকলে বা লোকজন সাগরে পড়ে গেলেই তাদের সাহায্য করা হয়।
জাতিসংঘ এর আগে খাবার ও পানির অভাবের মধ্যে থাকা এসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দেবার আহ্বান জানিয়েছিল।
কিন্তু এখন জাতিসংঘ বলছে, কোন দেশই তা মানছে না।
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র ভিনসেন্ট ট্যান বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় শুক্রবার কয়েকশ লোক অবতরণ করার পর থেকে আর কোন অভিবাসীই পারে নামতে পারে নি।
মিস ট্যান বলেন, ‘সময় দ্রুত পেরিয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদদাতা ও অভিবাসীদের কাছ থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকুল থেকে যাত্রা শুরুর পর খাদ্য ও পানির অভাবে, রোগে, পানিতে ডুবে বা অভিবাসীদের মধ্যে মারামারিতে কয়েক শত লোক নৌকার ওপরই মারা গেছে।বিবিসি………।
Discussion about this post