সিআরবিতে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলার দাখিল করা অভিযোগপত্র সন্তুষ্ট হতে পারেননি আদালত। স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত মামলাটি আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে তদন্ত করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অাবারও অভিযোগপত্র দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার বিশ্বাস। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এজাহারভুক্ত ২৬ জন আসামিকে অভিযোগপত্রে বাদ দেয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি পুন:তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন পিবিআই মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে আবারও অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করবে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, তদন্ত শেষে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালত অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। ৩১ ডিসেম্বর মামলার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
২৩ নভেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনসহ ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আতিক আহমেদ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
অভিযোগপত্রে সাইফুল আলম লিমনকে প্রধান আসামি করা হয়েছিল। লিমনকে বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও আট বছরের শিশু আরমান নিহত হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে বাবর ও লিমনসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে নিহত সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত অজিত বিশ্বাসসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলাকে আগের মামলার এজাহারের সঙ্গে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন।
ঘটনার পর পুলিশ বাবর ও লিমন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান চবি ছাত্রলীগের সভাপতি) আলমগীর টিপুসহ ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের এক বছরের মধ্যেই সব আসামি একে একে জামিনে বেরিয়ে যান।
জোড়া খুনের পর বহিস্কৃত হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এখন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক। আর সাইফুল আলম লিমনকে ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ‘সহ সম্পাদক’ পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
Discussion about this post