সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ক্ষমতা বাড়াল তুরস্ক। এর ফলে দেশটির পুলিশ এখন কোনো অভিযোগ ছাড়াই কাউকে এক মাস আটক রাখতে পারবে।
জরুরি আইনের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভা পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর এ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। তুরস্ক আরো ঘোষণা দেয়, ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজারের বেশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সপ্তাহে এরদোয়ানের সরকার ১২ হাজারের বেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৫ জুলাই অভ্যুত্থানচেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আলেম ফেতুল্লাহ গুলেনকে সন্দেহ করছে তুরস্ক। গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই তাঁর এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয় ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি সতর্ক করে বলেন, ‘একটি দেশ তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিকদের বন্দি করছে। এর ফল দেশটি নিজে ভবিষ্যৎকেই কারাবন্দি করছে।’
তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিষয়ক মন্ত্রী ওমার সেলিক বলেন, ইউরোপের নেতারা হুমকির মাত্রা বিষয়টি বিবেচনায় রাখছেন না এবং ১৫ জুলাইয়ের রক্তপাতের পর কেউ তুরস্কের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, ‘এখানে আসুন এবং দেখুন ব্যাপারটা কী রকম সাংঘাতিক। যাঁরা তুরস্ককে দূর থেকে দেখছেন, তাঁরা ভাবছেন এটা পোকেমন খেলা।’
তুরস্কের মন্ত্রী বলেন, আল-কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন বা ইসলামিক স্টেটের চেয়ে গুলেন ভয়ংকর।
সেলিক বলেন, অভ্যুত্থানচেষ্টার দুঃসময়ের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করতে তুরস্ক অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ইউরোপে অভিবাসীদের স্রোত বন্ধ করতে তারা ইইউর সঙ্গে চুক্তি করবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘বিগত ৫৩ বছর ইউরোপ আমাদের অপেক্ষায় রেখেছে। ইইউ সদস্যপ্রার্থী কোনো দেশকে এ রকম ভুগতে হয়নি, যেটা আমাদের ভুগতে হয়েছে।’
অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনায় তুরস্কের এক মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযোগ করে বলেন, তারা এ ষড়যন্ত্রে জড়িত। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নাকচ করেছে।
Discussion about this post