প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ার প্রতিশোধ যে তিনি এভাবে নেবেন তা হয়ত কেউ কল্পনায়ও আনতে পারেননি। গত সেপ্টেম্বরে পরিবারের সদস্যরা পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেন তার। তবে সেই বিয়েতে মত ছিল না কনের; প্রেমিককেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চাপের মুখে প্রেমিককে ছেড়ে বিয়ে করেন পরিবারের পছন্দের পাত্রকে।
এক মাস পার হতে না হতেই নির্মম এক ঘটনার জন্ম দিলেন তিনি। তরল পানীয় লাচ্ছির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্বামীসহ পরিবারের ১২ সদস্যকে খেতে দেন তিনি। লাচ্ছি খাওয়ার পরপরই তারা মারা যান। সোমবার পাকিস্তানের মুজাফফরগর জেলার এক তরুণী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
মুজাফফরগর জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াইস আহমদ বলেন, গস সেপ্টেম্বরে পরিবারের চাপে বিয়ে করেন ওই তরুণী। খুনের দায়ে সাবেক প্রেমিকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, আয়েশা বিবি দুধের সঙ্গে বিষ মেশান গত সপ্তাহে। কিন্তু স্বামীকে তা পান করাতে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হন তিনি। পরে লাচ্ছির সঙ্গে এই দুধ মিশিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও খেতে দেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াইস আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া অসুস্থ আরো ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ আয়িশা বিবি, তার এক সহযোগী ও চাচিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সহযোগী আয়িশা বিবির প্রেমিক ও তার চাচি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় সহায়তা করেছে।
সংরক্ষণশীল পাকিস্তানে নাবালিকা ও জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা হর-হামেশাই ঘটে; বিশেষ করে দেশটির দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে, যেখানে নারীরা দশকের পর দশক ধরে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে।
সূত্র : এএফপি।
Discussion about this post