ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অমিত সাহা (২০) হত্যা মামলায় দুইজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও অপর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন চার বছর আগের এ মামলায় আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আশফাক আহমেদ শিহাব ও আল আমিন ইসলাম পিন্টু এবং যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি হলেন মো. রুহুল আমিন রুবেল।
এছাড়াও রুহুল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড দিয়েছে অদালত। এর বাইরেও দণ্ড পাওয়া তিন আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৯৪/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪১১/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর সি ব্লকের ১৫ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়ির চার তলায় ভাড়া বাসায় প্রতিবেশী বন্ধু আশফাক ও তার বন্ধুদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন অমিত সাহা। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অমিতকে নেতাজাতীয় জুস খাইয়ে গলা বন্ধনী দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্বার্ণালঙ্কারসহ প্রায় নয় লাখ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অমিতের বাবা রিয়েলস্টেট ব্যবসায়ী শ্যামল চন্দ্র ভুঁইয়া পরদিন তিন জনকে অভিযুক্ত করে পল্লবী থানায় মামলা করেন।
মমালা তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার এএসআই শেখ মতিয়ার রহমান ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২২ জন সাক্ষির মধ্যে ২১ জনের সাক্ষি গ্রহণ করা হয়।
Discussion about this post