দুনেতা করমর্দন করেছেন ও কিছুক্ষণ কথা বলেছেন, এটি ওয়াশিংটন থেকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। “এটি অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ ছিল এবং এতে দুই নেতার মধ্যে অর্থপূর্ণ কোনো আলোচনা হয়নি,” জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
শনিবার ওবামা ও ক্যাস্ত্রো আবার মিলিত হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক এ সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে এবং দুইদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। পানামাতের অনুষ্ঠিত আমেরিকার দেশগুলোর এই শীর্ষ বৈঠকে কিউবা-যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বরে দুনেতা পরস্পরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার মধ্য দিয়ে দুদেশের সর্ম্পকের বরফ গলতে শুরু করে।
শুক্রবার সকালে ওবামা বলেছেন, “সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু করলেও সরকারের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য বিবেচনায় কিউবার সঙ্গেও আমাদের অনেক পার্থক্য থাকবে। যেমন আমেরিকাসদের ভিতরে অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে, যেমন আমরা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ভিন্নমত পোষণ করি।”
তবে ৫৩ বছর বয়সী ওবামা এও বলেছেন, অতীতের মতো ল্যাটিন আমেরিকার ওপর আর নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা চাপিয়ে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেছেন, “সেই দিনগুলো যখন এই গোলার্ধের বিষয়ে আমরা মনে করতাম, যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো দেশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে, ওই দিনগুলো অতীত হয়ে গেছে।”
আমেরিকার দুই মহাদেশের সবগুলো দেশের এ শীর্ষ সম্মেলনে এবারই প্রথমবারের মতো উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৩৫টি দেশের মধ্যে সবগুলো যোগ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘কালো তালিকা’ভুক্ত হওয়ার কারণে কিউবাকে অর্থনৈতিক ও অস্ত্র রফতানির ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকতে হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থঋণের বিষয়ে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পানামা সম্মেলনেই কিউবাকে ‘কালো তালিকা’ থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
Discussion about this post