বিডি ল নিউজঃ আগামীকাল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তার আগে আত্মবিশ্বাসী মেন ইন ব্লু ব্রিগেড। ওপেনার রোহিত শর্মা সাফ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জেতার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। এ ব্যাপারে কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা জানি, কীভাবে বড় ম্যাচ খেলতে হয়।আগামীকালের ম্যাচে স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বড় রান করার দায়িত্ব থাকবে ওপেনারদের ওপর।
সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে জিতে পঞ্চমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে মরীয়া অসি ব্রিগেড পেস আক্রমণকেই তুরুপের তাস করতে পারে। এই অবস্থায় মিচেল স্টার্কদের আক্রমণের ধার ভোঁতা করার জন্য দুই ওপেনার শিখর ধবন ও রোহিতের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারত। দুই ওপেনারই বর্তমানে ফর্মে রয়েছেন। ধবন দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। অন্যদিকে, কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চাপের মুখে রোহিতের ১৩৭ রান জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
ম্যাচের আগে সিডনির উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রয়েছে। যদিও পিচ নিয়ে আদৌ ভাবিত নয় ধোনি-বাহিনী। এ ব্যাপারে রোহিত বলেছেন, কী ধরণের উইকেটে খেলা হবে, তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। যে কোন পিচে খেলতেই আমরা তৈরি। আমরা সাতটা ম্যাচে ৭০ উইকেট নিয়েছি। টুর্নামেন্টের সাতটি ম্যাচেই আমরা প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছি। তাই আমরা জানি, কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে।
সেমিফাইনালে দু দলের কড়া টক্কর হবে বলেই মনে করছেন রোহিত। ম্যাচের উত্তাপ খেলোয়াড়দের মেজাজেও পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে বাক-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন রোহিত। এ জন্য জরিমানা হয়েছিল ওয়ার্নারের। এ ব্যাপারে রোহিত বলেছেন, অল্পবিস্তর স্লেজিং চলতেই পারে। তবে দেখতে হবে তা যেন সীমা না ছাড়ায়।ভারত কোনওভাবেই ওই সীমা লঙ্ঘণ করবে না। তবে স্লেজিং করলে পাল্টা দিতে পিছপা হবেন না তাঁরা।
গত ৩৫ বছরে সিডনিতে মাত্র একবার ভারত হারাতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০৮-এ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের প্রথম ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরের সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। এছাড়াও বিশ্বকাপের ইতিহাস বলছে, সেমিফাইনালে কখনও হারেনি ব্যাগি গ্রিন ব্রিগেড। সিডনিতে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের ওই রেকর্ড থামাতে মরীয়া ভারত।
কেননা, চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন রোহিতরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সাতটি ম্যাচেই জয়ী হয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, যে ম্যাচগুলিতে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে, সেই ম্যাচগুলির প্রত্যেকটিতেই ৩০০-র বেশি রান তুলেছে ভারত।’এবিপি আনন্দ
Discussion about this post