আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন জরুরি ভিত্তিতে পরিবর্তনের জন্য আজ সোমবার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। হামলাকারী যে ধরণের সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, আশা করা হচ্ছে, দেশটির মন্ত্রী পরিষদ সে ধরণের অস্ত্রের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে ২টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে।
সেদিনই বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর আগে কয়েকবারই অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতে চাইলেও সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এবার এই ভয়াবহ ঘটনার পর তড়িঘড়ি আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এদিকে, ওই দুই হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু হয়নি। বুধবার নাগাদ পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবার কাজ শুরু হবে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেখানকার পুলিশ। ওই এলাকায় ট্যারেন্ট জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন।
উল্লেখ্য, ৫ এপ্রিল তাকে আবার আদালতে হাজির করা হবে। ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনা ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলেন ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এর আগে এক তথাকথিত ইশতেহার প্রকাশ করেন যেখানে তিনি তার সহিংস কট্টর দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ তুলে ধরেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
Discussion about this post