আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে ভয়াবহ মসজিদ হামলার ১০ দিনের মধ্যেই অস্ত্র আইন পরিবর্তন করতে সম্মত হয়েছে সে দেশের মন্ত্রিসভা। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যেই এই সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
আজ সোমবারের বৈঠকে দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনাসহ জঙ্গি নজরদারির তালিকা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র আইনের ‘নীতিগত’ পরিবর্তন আনতে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
শুক্রবারে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পরদিনই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়েছিলেন। ওই মসজিদ হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট একটি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। হামলাকারী যে ধরনের সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, আশা করা হচ্ছে দেশটির মন্ত্রিসভা সে ধরণের অস্ত্রের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, টারান্টের অস্ত্রটি বৈধ, যে কারণে তার গুলি কিনতেও অসুবিধা হয়নি।
এর আগে নিউজিল্যান্ড সরকার বেশ কয়েকবার অস্ত্র আইনে পরিবর্তনের অদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত সেটিবাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই ভয়াবহ হামলার পর তড়িঘড়ি আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এদিকে, দুই মসজিদ হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু হয়নি। বুধবার নাগাদ পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে, সেখানকার করেনার কার্যালয়। সূত্র: বিবিসি
এ/কে
Discussion about this post