‘যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ট’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ‘আমেরিকার এজেন্ট’ টিআইবিকে প্রত্যাখান করার আহ্বান জানিয়েছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।
অনুপম সেন বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার চাওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। টিআইবি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
‘অ্যামনেস্টি যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ট। টিআইবি আমেরিকার এজেন্ট। তাদের প্রত্যাখান করতে হবে। ’ বলেন অনুপম সেন।
তিনি বলেন, মুক্তমনা ব্লগার ও পুলিশ হত্যাকাণ্ডসহ সারা দেশে যেসব গুপ্তহামলা চলছে সেগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের বাঁচাতে জামায়াত-শিবির ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীই এসব হামলা চালাচ্ছে।
১৯৭২ সালের সংবিধানের চার মূল নীতির ভিত্তিতে দেশ গড়তে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.অনুপম সেন।
যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড দ্রুত কার্যকর, অবিলম্বে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেেএ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের মহানগর সভাপতি নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক খালেদা আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় এ গণসমাবেশ।
গণসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিকে বিশ্বাস।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহআলম, জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইন্দু নন্দন দত্ত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, বিএমএ’র কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শেখ সফিউল আজম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.শাহাবুদ্দিন, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক বালাগাতউল্লাহ, ওয়াকার্স পার্টির জেলা সম্পাদক সামসুদ্দিন খালেদ সেলিম, চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান, গণআজাদী লীগের মহানগর সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম ও হাসান মুরাদ বিপ্লব, মহানগর ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক মিঠুল দাশগুপ্ত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের সুজন, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, মহিলা কাউন্সিলর নিলু নাগ, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ নুর হোসেন, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, জাতীয় চার নেতা পরিষদের সাধারণ আব্দুর রহিম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতাদের মধ্যে বিভাগীয় সদস্য সচিব বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, উত্তর জেলার সভাপতি ড. মাহমুদ হাসান, দক্ষিণ জেলার সভাপতি কমান্ডার মো.ইদ্রিস, মহানগর সহসভাপতি হাজী আবু বক্কর, মাহফুজুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, উত্তর জেলার সহসভাপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলার সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহম্মদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন ও দক্ষিণ জেলার আহবায়ক মো.জোবায়ের, সংগঠনের নেতা দিদারুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, অজয় মিত্র শংকু, নাজিম উদ্দিন, মো.জসিম উদ্দিন, আনোয়ার আজম, জসিম উদ্দিন মিঠুন, মোফাচ্ছেল চৌধুরী মানিক, নাছির উদ্দিন রিয়াজ, মনোয়ার জাহান মনি, ইয়াছির আরাফাত, সাহেদ মুরাদ শাকু, বেগম মিলি চৌধুরী, আফরোজা রহিম বেবি, অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার সেফু, মাহবুব আলম, কামরুল আজম টিপু, পলাশ বড়ুয়া, আরিফ মঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট রনি দে, সুপ্রিয় দাশ অপু, মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, ডা.সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, মো.সেলিম, আইন কলেজের ভিপি ওয়ায়েশ কাদের, সরফরাজ নেওয়াজ রবিন এবং মহিলা অাওয়ামী লীগ নেত্রী মর্জিনা আকতার লুসি।
Discussion about this post