ঠোঁটটা তাঁর একটু কাটাই। মনে যা আসে, সোজাসাপ্টা বলে দেন। তাতে কেউ নাখোশ হলো কিনা, তাতে পরোয়া নেই। জিওফ বয়কট যেমন ছাঁচাছোলা ভাষাতেই জানিয়ে দিলেন, এবারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ড দুই দলেরই খেলায় এখনো অনেক খুঁত আছে। জমজমাট লড়াই উপহার দিতে দুই দলকেই এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে।
কথাটা অবশ্য বয়কট মন্দ বলেননি। এবারের অ্যাশেজের তিন টেস্টে জয়-পাল্টা জয়ের খেলা চলছে ঠিকই, কিন্তু লড়াইয়ের উত্তাপ কই? সামগ্রিকভাবে অ্যাশেজের ফলাফল দেখলে মনে হবে, বেশ তো লড়াই হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, তিন ম্যাচেই পরাজিত দল অসহায়ভাবে হেরেছে। শেষ দুটো টেস্টে তো একেবারে যাচ্ছেতাই হার। লর্ডসে ইংল্যান্ড হারল ৪০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড তো এক শর মধ্যেই অলআউট হতে বসেছিল। পরের টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হারতে বসেছিল দুই দিনে!
ম্যাচ তাই জমছে না। আর জমজমাট লড়াই হতে হলে দুই দলকে খেলতে হবে নিজেদের সেরাটা। ৮ হাজার টেস্ট রানের মালিক বয়কট টেলিগ্রাফে লেখা কলামে ধরে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোন জায়গাগুলোতে দু্র্বলতা। তবে নিজে ইংলিশ কিংবদন্তি বলে নিজের দলকেই সুপরামর্শ বাতলেছে এমন নয়। অস্ট্রেলিয়াকেও ধরিয়ে দিয়েছেন, কোথায় কোথায় তাদের সমস্যা।
বয়কট বরং চান, ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াক। এই ম্যাচ হারলে যে অ্যাশেজই শেষ। শেষ সব উত্তাপ। আগামীকাল শুরু হচ্ছে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচ হারলে ৩-১-এ সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যাবে।”প্রথম আলো
Discussion about this post