এক নারীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়ার মামলায় কবিরাজ সুজন হোসাইন (৩০) নামে এক ব্যক্তির ১২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ) এসএম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
বাদিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকী জানান, রায়ে ট্রাইব্যুনাল ওই আসামির ১২ বছর কারাদণ্ডের পাশাপশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত ওই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলায় বলা হয়, পাবনার নাজিরপুরের বাবুল প্রমানিকের ছেলে সুজন হোসাইন পেশায় একজন কবিরাজ। বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র ও দৈব শক্তি দিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে পাবনার নাজিরপুরে তাকে এক নামে সবাই চেনে। সে বাদি ও ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। বাদির বাসা কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি গেলে তা উদ্ধারে সুজনের ডাক পড়ে। ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সুজন তাদের বাড়ি এসে একদিন থেকে ৩ দিন পর আবার আসার কথা বলে চলে যায়। এরপর ওই বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সে ফিরে এসে মালামাল সনাক্তে বাদির মেয়ে নাসিমা আক্তার প্রিয়াকে (২৪)কে তার সাথে দিতে বলে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর সে তাকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত পৌনে বারটায় আসামি সুজন ফোন করে জানায় মিরপুর চিড়িয়াখানায় কে যেন নাসিমাকে এসিড মেরেছে। সে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছে। আসামি সুজন বাদি হয়ে রাজধানীর শাহআলী থানায় একটি মামলাও দায়ের করে পালিয়ে যায়। এরপর তদন্তে সুজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে স্বীকার করে তিনি বলেন, ভিকটিম নাসিমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। নাসিমা বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতো। তার জন্য স্ত্রীও ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই করণেই সে এডিস নিক্ষেপ করে।
মামলাটিতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহআলী থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
Discussion about this post