এম.আর.ওয়াজেদ চৌধুরী (রায়হান), চট্রগ্রাম প্রতিনিধি: দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় “আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম” (আইআইইউসি) এ যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বঙ্গালী জাতীর ঐতিহাসিক এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এর সামনে ক্যাম্পাস প্রধান প্রফেসর ড.দেলোয়ার হোসেন ও প্রফেসর হারুনুর রশীদ যথাক্রমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় আবাসিক হল সমূহের হল প্রভোস্টবৃন্দের নেতৃত্বে ছাত্ররা দাড়িয়ে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সকাল সাড়ে ৮ টায় আবাসিক হল সমূহের মধ্যে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দশটায় প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি আইআইইউসির সুবিশাল নিজস্ব ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার চত্বরে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুস্টান। প্রধান অথিতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ” স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ সালে যেসব বীর শহীদ হয়েছেন তাদের স্বপ্ন সত্যিকারে বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়ম মেনে চলে সর্বোচ্চ চেস্টা করব দেশের জন্য কিছু করার। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা মানে নিজের যেমন খুশী তেমন করা নয়, এটাকে স্বৈরাচার বলে। আমাদের ব্যাক্তি জীবন, সমাজ জীবন,রাষ্ট্রীয় জীবনসহ সর্বক্ষেত্রে স্বৈরাচারী আচরণ পরিহার করে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে ঐক্য,সোহার্দ- সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হবে। ” অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাইদুল হক, বিবিএ প্রধান অধ্যাপক জুনাইদ কবির, তড়িৎ প্রকৌশল বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড.সাখাওয়াত জামান, সহকারী প্রোক্টর অধ্যাপক হবিবুল্লাহ এবং প্রভোস্টবৃন্দ যথাক্রমে, অধ্যাপক আব্দুল মালেক, অধ্যাপক রফিকুল হক, অধ্যাপক নুরুজ্জমান, অধ্যাপক হারুনুর রশীদ প্রমুখ। সবশেষে, শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Discussion about this post