‘দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের ঘটনা অত্যন্ত দু:খজনক। হত্যাকান্ডের পর আইএস জড়িত বলে বিবৃতি এসেছে। এর সত্যতা যাচাইয়ে কাজ চলছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। ’ বার্নিকাট।
বার্নিকাট বলেন, ‘যে সব বিদেশি নাগরিক এ দেশে আছেন অবশ্যই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ’
বার্নিকাট জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসার বিষয়টির সঙ্গে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে বলে তিনি মনে করেন না।
‘অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন বক্তব্য থাকতে পারে। তবে হত্যাকান্ডের সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করিনা। ’ বলেন বার্নিকাট।
২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালিয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই কায়দায় ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক ওসি কনিওকে হত্যা করা হয়।
এর আগে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অবৈধ মানবপাচার ও মাদকপাচার রোধ এবং জলদস্যুবিরোধী বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপকে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) সম্মান করি। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদসহ বহুজাতিক অপরাধ মোকাবেলায় সাহায্য করবে বলে আমরা মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়। ’
‘আমরা সব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং পুরো ইন্দো এশিয়া প্রশান্তে মানবপাচার ও চোরাচালান কমিয়ে আনার কাজে আমরা কাজ করতে চাই। ’ বলেন বার্নিকাট।
তিনি বলেন, সমুদ্রের স্বাধীনতার অর্থ শুধু আন্তর্জাতিক জলপথে বাণিজ্যিক নৌযান স্বাধীনভাবে চলতে পারা নয়। সমুদ্রের স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সব ধরনের অধিকার, স্বাধীনতা ভোগ করা এবং আইন মেনে সমুদ্র ও আকাশপথে সামরিক জাহাজ ও বিমান ব্যবহার করা।
বঙ্গোপসাগরে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যৌথ সমুদ্র মহড়া। পাঁচদিনব্যাপী কারাত নামে এই মহড়া শেষ হচ্ছে রোববার।
সমুদ্রসীমার নিরাপত্তায় সম্পর্কোন্নয়ন, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এ মহড়ার অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দুই দেশের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে কারাত। আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক আগ্রহের ভিত্তিতে এটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবিব এবং কমডোর কমান্ডিং এম খালেদ ইকবাল বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post