গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্টের হামলাকারীরা আইএস নয় বরং নিষিদ্ধ ঘোষিত স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া খবরটি নিশ্চিত করে।
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের সদস্য। তাদের সঙ্গে আইএসের কোনও সংযোগ নেই।’
শুক্রবার (১ জুলাই) গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার পর পরই আইএসের স্বঘোষিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ হামলার দায় স্বীকারের খবর প্রকাশ করা হয়। তবে বরাবরই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নেই বলে দাবি করে আসছে সরকার। শনিবার আর্টিজান রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযানে ৬ হামলাকারী নিহত হওয়ার কথা জানায় আইএসপিআর।
এএফপিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তারা (হামলাকারীরা) সবাই উচ্চশিক্ষিত তরুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে তারা। তাদের কেউ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেনি।’
তবে তারা কেন চরম ইসলামপন্থী জঙ্গিতে পরিণত হলো এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের এই রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন। শনিবার সকালে রেস্টুরেন্টটিতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হন। সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রেস ব্রিফিয়েং জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ এর সময় ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জন বিদেশি ও ৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানানো হয়। এছাড়া জীবিত উদ্ধার হন ১৩ জন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post