জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেওয়ার অভিযোগে খুলনার দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামিরা যদি জামিনে বেরিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে সাত দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে আসামিরা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করতে খুলনার এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি জালিয়াতির ঘটনায় এ মামলার আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে শো’কজ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত বলেছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আপাতত আর ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।
জালিয়াতির ঘটনাটি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনার পর বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালে ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পরবিলার টিপু শেখকে অতর্কিত হামলায় খুন করা হয়। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে থাকা তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় খুলনার দিঘলিয়া থানার পরবিলার টিপু শেখকে গাজীরহাট বাজারের পাশে কাঠালতলা ভ্যান স্ট্যান্ডে দিনের বেলায় ৩২ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা অজ্ঞাত ৮/১০ জন আসামি অতর্কিত হামলা করে। আসামিরা বাদীর পিতার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে উল্লাস করে চলে যায়। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টিপু শেখকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় এজাহারে থাকা ৩২ আসামির মধ্যে ৫ আসামির পক্ষে আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামাল হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তারা হলেন— সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা।
এরপর গত ১৮ মে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের নিয়মিত আদালত খোলা না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন।
কিন্তু আসামিরা ভুয়া এজাহার বানিয়ে এবং অভিযোগ বদল করে জামিন পেয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। তাই বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করা হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
Discussion about this post