বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রত্যেকটি পেশার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক রয়েছে। ডাক্তারদের চেনা যায় তাদের সাদা পোশাকে, ইঞ্জিনিয়ারদের চেনা যায় তাদের হেলমেটের দ্বারা এবং আইনজীবীদের পোশাক হলো কালো ও সাদা। বিভিন্ন দেশে আইনজীবীদের পোশাক ভিন্ন ভিন্ন।
কানাডার মত দেশে আইনজীবীরা লাল এবং সাদা ইউনিফর্ম পরেন। ইউরোপে ঐতিহ্যগত কালো এবং সাদা পোশাক পরা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতে পুরুষ এবং মহিলা উভয় আইনজীবীকে কালো পোশাক পরতে হয়। কিন্তু তারা এই ধরনের পোশাক কেন পরেন? এর পেছনের কারণ কি?
বাংলাদেশ ও ভারতে বর্তমানে আইনজীবীরা যে ধরনের পোষাক পরেন তার উৎপত্তি হয়েছে ষষ্ঠাদশ শতাব্দীতে। ১৬৮৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস মারা যান, তখন রাজার মৃত্যুর শোক প্রতীক হিসাবে গাউন পরা শুরু হয়।
কালো রঙ বাছাই করার দুটি কারণ হলো প্রথমত রঙ সহজলভ্য নয়। বেগুনি রয়্যালটিকে বোঝায়। কালো কোট পরার পিছনে প্রধান কারণ হলো কালো কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার রঙ। যেমন পুরোহিতরা কালো পোশাক পড়েন যা ঈশ্বরের কাছে তাদের নিবেদনকে বোঝায়, আইনজীবীরা কালো পোশাক পরেন বিচারপতির কাছে তাদের নিবেদনকে বোঝানোর জন্য।
সাদা রঙ হলো আলো, ধার্মিকতা, নিষ্কলুষতা এবং বিশুদ্ধতার প্রতীক। একজন সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায় বিচারের একমাত্র আশা হলো আইনজীবী, সাদা রঙ তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করা হয়। যেমন ভারতীয় সংস্কৃতি বৃটিশ শাসকদের দ্বারা প্রভাবিত। ২০০৯ সালের ফৌজদারী নিয়ম ও আদেশাবলীতেও একজন আইনজীবীকে কালো কোট তার সাথে সাদা রঙের গলাবন্ধনী পরার কথা বলা হয়েছে।
কালো কোট বা সাদা শার্ট দিয়ে কোনও উকিলকে চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু গলায় ছোট গলাবন্ধনী তাদেরকে চিনতে সাহায্য করে। কালো এবং সাদা পোষাক সহজেই কেনা যায়। কিন্তু সাদা রঙের গলাবন্ধনী আইনজীবীরা জন্য সংরক্ষিত। কেন এই কাপড় টুকরোটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
সাদা রঙের গলাবন্ধনীর উদ্ভব হয়েছে ইংল্যান্ডে। পুরানো ইংরেজি আদালত, ব্যারিস্টার তাদের ইউনিফর্মের সাথে সাদা রঙের গলাবন্ধনী পড়তো। যেহেতু ব্যারিস্টার ছিলেন ভারতীয় আদালতের প্রথম আইনজীবী। সেজন্য প্রতীক হিসেবে এই দেশের আইনজীবীরা এই পোষাক পরতে শুরু করে।
সূত্র- ইন্টারনেট
Discussion about this post